অবশেষে আগামী ৩১ জানুয়ারি, শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই টালা ব্রিজে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেএমডিএ। খুব শীঘ্রই এই সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে শুক্রবার নবান্ন সূত্রে খবর। যান চলাচল বন্ধ হওয়ার পরেই শুরু হবে প্রাচীন এই ব্রিজ ভাঙার কাজ। এটি ভাঙতে আনুমানিক ৩০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
টালায় নতুন ব্রিজ তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে সরকার। নতুন ব্রিজ হবে ৪ লেনের হবে। এটি নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষে ইতিমধ্যে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৬৮ কোটি টাকা। ১৮ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করার শর্ত দেওয়া হয়েছে দরপত্রে।
পুরনো চিৎপুর ব্রিজের পাশে তৈরি হচ্ছে এই লেভেল ক্রসিং। নতুন লেভেল ক্রসিংয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে রেল। তবে এটি নির্মাণের খরচ রাজ্য সরকার বহন করছে। খরচ হচ্ছে ১৪ কোটি টাকা। টালা ব্রিজের কারণে পরিবর্তন করা হয়েছে বাস চলাচলের রুট। ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার ৪২টি বাসরুট নতুন পরিবর্তিত পথে চলছে। ব্যারাকপুরের দিক থেকে কলকাতাগামী সমস্ত বাস বি টি রোড থেকে চিড়িয়ামোড় হয়ে দমদম সেভেন ট্যাঙ্ক–নর্দার্ন এভিনিউ হয়ে পাইকপাড়া মিল্ক কলোনি হয়ে বেলগাছিয়া সেতু দিয়ে শ্যামবাজারের রাস্তায় চলাচল করছে। কলকাতা থেকে ব্যারাকপুরমুখী বাস শ্যামবাজার থেকে ভূপেন বোস এভিনিউ ধরে রাজবল্লভ পাড়ার পর লক গেট ব্রিজ ধরে চুনিবাবু বাজার চিড়িয়া মোড় হয়ে বি টি রোডে এসে উঠছে।
নতুন টালা ব্রিজ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ওই অঞ্চলে ছোট ছোট রুটে অটো চালানো ব্যবস্থা করেছে সরকার। পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে কলকাতার দিকে আসতে আর এখন নিবেদিতা সেতু ধরতে দেওয়া হচ্ছে না। তার পরিবর্তে পণ্যবাহী লরি দ্বিতীয় হুগলি সেতু অথবা বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাতায়াত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।