দেশ

জোটের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শপথ নিলেন

মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করলেন শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে। তিনি অবশ্য প্রকাশ্যেই শপথ নিলেন। দেবেন্দ্র ফড়নবিশের মতো রাতের অন্ধকারে শপথ নেননি। ১৯৬৬ সালে এইখানেই শিবসেনার জন্ম এবং প্রথম দশেরা উৎসব পালন করেছিলেন বালাসাহেব ঠাকরে। অনুষ্ঠানে ছিল ছাত্রপতি শিবাজির মূর্তিও। উদ্ধব ঠাকরেই, ঠাকরে পরিবারের প্রথম সদস্য যিনি মুখ্যমন্ত্রী হলেন। শপথগ্রহণের আগে গেরুয়া কুর্তা পড়ে, শিবরাজ্যাভিষেক বা ছত্রপজি শিবাজির আশীর্বাদ গ্রহণ করেন জোটের নেতা উদ্ধব ঠাকরে।
হিন্দি ফিল্মের আর্ট ডিরেক্টর নীতীন দেশাইয়ের সাজানো মঞ্চে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন উদ্ধব ঠাকরের স্ত্রী রেশমী ঠাকরে এবং ছেলে আদিত্য ঠাকরে। মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে মহাসমারোহে তাঁর শপথ অনুষ্ঠান আয়োজন হয়েছিল। সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৪০ মিনিটে সেখানে শপথ নেন উদ্ধব ঠাকরে। শিবসেনা–এনসিপি–কংগ্রেস জোট থেকে আরও ৬ জন এদিন সেখানে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। শপথ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর রাতেই উদ্ধবের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা।
মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘধি দায়িত্বভার গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে, শপথগ্রহণ করলেন শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের দু’‌জন করে মন্ত্রী। তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেসের বহু নেতাই উপস্থিত ছিলেন এদিনের অনুষ্ঠান থেকে বিজেপি বিরোধী শক্তি দেখার জন্য। মঞ্চে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি, তাঁর স্ত্রী নীতি আম্বানি এবং ছেলে অনন্তকে। অবশ্যই সেখানে মঞ্চ আলো করে বসেছিলেন মারাঠা স্ট্রংম্যান শরদ পাওয়ার। রাজ ঠাকরে উপস্থিত ছিলেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বাল, আহমেদ প্যাটেলও পৌঁছন সেখানে। সানাইয়ের বাদ্যির সঙ্গে জনসাধারণের হর্ষধ্বনি তাল মিলিয়েছিল। জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে শেষ হয় শপথ অনুষ্ঠান।