এটা হওয়ারই ছিল। হলও তাই। তবে সময়টা অপ্রত্যাশিত ছিল। এত তাড়াতাড়ি জনপ্লাবন নামবে তা আশা করা যায়নি। সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কলকাতার বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে এমনটাই বোধ হচ্ছিল। সল্টলেক থেকে উত্তর ও উত্তর–পূর্ব কলকাতা, নবমীর বেলাশেষের ভিড় ছিল মূলত অবাঙালি ও শহরতলির মানুষের। বিরাটি, মধ্যমগ্রাম,আলমবাজার, বরানগর, আন্দুল থেকে উৎসাহী মানুষ এসেছেন। আর কালো মাথার ভিড়ে তিলোত্তমা কলকাতায় যেন জনপ্লাবন।
আলমবাজারের অরিন্দম দত্ত এসেছেন পুরো পরিবারের সঙ্গে ভিআইপি রোডের ধারে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের ঠাকুর দেখতে। কোলের শিশুকে সামলাতে সামলাতে তিনি বলেন, ‘ফি–বছর নিয়ম করে দুর্গাপুজোয় ঠাকুর দেখতে আসি। এবার বৃষ্টির জন্য খানিকটা আতঙ্ক নিয়ে বেরিয়েছি। আর ভিড়? তা তো জনপ্লাবন।’
দমদম পার্ক তরুণ দলের মণ্ডপে ঢোকার লাইনে পরিচয় হল সৌরভ ঘোষের সঙ্গে। কৈখালিতে আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছেন বনগাঁ থেকে। অবশ্যই পুজো দেখতে। তাঁর বক্তব্য, নবমীর সকাল–বিকেলে ভিড়টাই বেশি হয়েছে। তবে এলাকার মানুষজনের নিখাদ আড্ডার খুব ভাল লেগেছে। সল্টলেকের পুজোমণ্ডপগুলিতেও দুপুরের খাওয়াদাওয়ার পর বাসিন্দারা জমিয়ে আড্ডায় মশগুল। প্রবীণেরাও তুমুল গল্প জুড়ে দিয়েছেন।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নামছে তখন উল্টোডাঙার মোড়ে। আলো জ্বলে উঠছে পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায়। মায়াবী তিলোত্তমার চেহারা নিচ্ছে হররোজের শহর। বিধাননগর রোড স্টেশন থেকে মহানগরের পথে মিশে যাচ্ছে বিপুল জনস্রোত। আর জনজোয়ারই এবার ব্রেক ফেল করবে উৎসবমুখর কলকাতাকে।