হতাশ জীবনে যেন এক টুকরো আশার আলো! শনিবার চাঁদে ল্যান্ডিংয়ের সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে লাগাতার চলছিল ল্যান্ডার বিক্রমের খোঁজ। তবে খোঁজ মিলল বিক্রমের। রবিবার বিক্রমকে খুঁজে পাওয়ার খবর জানালেন ইসরোর প্রধান ডঃ কে শিবন। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ঠিক কোন জায়গায় সে নেমেছে, কক্ষপথে থাকা অরবিটার তা জানতে পেরেছে। ছবিও তুলে ফেলেছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা ছোঁয়ানো ল্যান্ডার বিক্রমের। ব্যস, পিঠ দিয়ে যেন ঠাণ্ডা স্রোত নেমে গেল।
ইসরো প্রধান জানান, চন্দ্রযান–২–এর অর্বিটারকেই কাজে লাগালেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। অর্বিটারের পাঠানো থার্মাল ছবি থেকেই মিলল বিক্রমের সন্ধান। থার্মাল ইমেজিং–এর মাধ্যমে কোনও ছবিতে তাপমাত্রাকে বিভিন্ন রঙে চিহ্নিত করা হয়। ফলে কোনও বস্তুর তাপমাত্রা আলাদা হলে তাকে আলাদা করে চিহ্নিত করা যায়। চন্দ্রপৃষ্ঠের থার্মাল ছবি তুলে আলাদা রঙে চিহ্নিত করা গিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমের অবস্থান। চন্দ্রপৃষ্ঠেই পাওয়া গিয়েছে বিক্রমকে। যদিও এখনও বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি বলে খবর।
তিনি এও জানান, এখনও পর্যন্ত বিক্রমের কাছ থেকে কোনও রেডিও সিগন্যাল অরবিটারের কাছে পৌঁছয়নি। কিন্তু সে কোথায় নেমেছে, তার খবর যখন পাওয়া গিয়েছে তখন আশা, শীঘ্রই বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। বিক্রম অক্ষত আছে না তার কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে? যোগাযোগ স্থাপিত হলেই সে বিষয়ে জানা যাবে বলে মনে করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ঠিক কী ঘটেছিল ল্যান্ডিংয়ের সময়ে, জানা যাবে সেই তথ্য বিশ্লেষণ করেই।
ডঃ শিবন জানিয়েছেন, শীঘ্রই বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেউ বলতেই পারেন, অরবিটার তো আর বৃত্তাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে না চাঁদকে। ঘুরে চলেছে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে। যার অর্থ, যখন সে চাঁদের খুব কাছে আসছে তখন সে থাকছে ৯৬ কিলোমিটার দূরে। খুব দূরে থাকলে তার দূরত্ব হচ্ছে ১০১ কিলোমিটার। কিন্তু এই দূরত্বের ব্যবধানটা সামান্যই। মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। তাই তার ফলে অপটিক্যাল ক্যামেরায় তোলা বিক্রমের ছবির স্বচ্ছতার যে বিশেষ তারতম্য হবে তেমন আশা করছেন না বিজ্ঞানীরা।