জেলা রাজ্য

গ্রীষ্মবকাশের আগেই ছুটি পেল ঋষভ

আট দিনের লড়াই শেষ। পোলবা পুলকার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ছোট্ট স্কুলপড়ুয়া ঋষভ সিংয়ের। শনিবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর হয়েই ঋষভের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিত্‍সকরা। এদিকে ঋষভের মৃত্যু হলেও এসএসকেএম হাসপাতালে মরণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে দিব্যাংশু ভগত। শুক্রবার সে মায়ের ডাকে সাড়াও দিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ৮ দিনের চিকিত্‍সায় দিব্যাংশু এখন অনেকটাই সংকটমুক্ত।
অন্যদিকে শুক্রবার রাতেই অবনতি হয় ঋষভের শারীরিক অবস্থার। একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে মারাত্মক সংক্রমণ ছড়িয়ে প‌ড়ে বলে জানান চিকিত্‍সকরা। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ ঋষভের রক্তচাপ শূন্যে নেমে আসে। শুক্রবারই মায়ের ডাকে সাড়া দেয় আরও এক আহত স্কুলপড়ুয়া দিব্যাংশু ভগত। এই নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বলার ভাষা হারিয়েছি। ঋষব আমার নাতির বয়সি। ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বলতে বাধ্য হচ্ছি রুথলেস, নেগলিজেন্স চালকদের জন্যই এই মৃত্যু।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হুগলির পোলবায় স্কুলে যাওয়ার সময় নয়ানজুলিতে পড়ে যায় তাদের পুলকার। বেশকিছুক্ষণ সেখানেই অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকে ঋষভ এবং দিব্যাংশু। তাতেই তাদের ফুসফুসে ঢুকে যায় নয়ানজুলির নোংরা কাদাজল। দ্রুত দু’‌জনকে গ্রিন করিডর করে কলকাতায় আনা হয়। এরপরই শুরু হয় মরণপণ লড়াই। দিব্যাংশু সামলে উঠলেও, পারল না ঋষভ। শনিবার ভোর ৫টায় তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।