২১ দিনের লকডাউন শেষ হবে আগামী ১৪ এপ্রিল। তার পরের দিনই শুরু হচ্ছে নববর্ষ উৎসব। কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে সামাজিক বা ধর্মীয় সব ধরনের জমায়েতই বন্ধ থাকুক। লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দিল লকডাউন চলাকালীন কোনওভাবেই ধর্মীয় বা সামাজিক, সাংস্কৃতিক সমাবেশ করা যাবে না। ফলে বাঙালির নববর্ষে গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে বলে খবর।
কেউ না মানলে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন ও ফৌজদারি আইন বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকার চায় রাজ্যগুলি আইনের এই কঠোর বিধানগুলিও যেন প্রচার করে। ফৌজদারি আইনের ১৮৮ ধারায় এই অপরাধের জন্য সাত বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলায় নববর্ষ উৎসব মূলত ব্যবসায়িক ক্ষেত্রকেন্দ্রিক। স্বভাবতই লকডাউন চললে উৎসব পালনের প্রশ্ন ওঠে না।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি মণিপুরেরও নববর্ষের শুরু ওই দিন থেকে। অসমেও ওই দিনটি বিহু উৎসব পালন করা হয়। গুজরাট ওই দিনে সবরমতী নদীতে প্রয়াতদের স্মরণ করে প্রদীপ ভাসায়। নদীর পাড়ে মেলা বসে। কেরলে ‘বিশু’ উৎসব। আবার পাঞ্জাবেরও নববর্ষ। বৈশাখী উৎসব পালন শুরু হয়। সূত্রের খবর, বালার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এনেছেন। তবে এপ্রিল মাস জুড়ে সারা দেশে বিভিন্ন রাজ্যের সামাজিক উৎসবের কথা মাথায় রেখেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আগে থেকেই রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে দিল।