আন্তর্জাতিক

খাশোগি হত্যায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা

ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তিন জনকে ২৪ বছরের কারাদণ্ড দিল সৌদি আরবের একটি আদালত। তবে অপরাধী কারা, তাদের নাম-পরিচয় কিছুই প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তাই সৌদি আদালতের রায় নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে— দোষীদেরই শাস্তি হচ্ছে তো? নাকি নিরাপরাধ কাউকে ফাঁসির মঞ্চে তুলে আসল অপরাধীদের আড়াল করছে সৌদি সরকার!
সৌদি পাবলিক প্রসিকিউটর শালান আল–শালান এই মামলার প্রাথমিক রায় পড়ে শোনাতে গিয়ে বলেন, সৌদি রাজপরিবারের প্রাক্তন পরামর্শদাতা সৌদ আল–কাহতানির বিরুদ্ধে তদন্ত করা হলেও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় যে মোট ১১ জন অভিযুক্ত তাঁরা সকলেই সৌদির নাগরিক। এই হত্যার ঘটনায় বিদেশি কোনও গুপ্তচরের হাত থাকতে পারে বলে তদন্তে অনুমান করা হয়েছিল। পরে তদন্ত করে দেখা যায় সেই ধারণা একেবারেই ভুল। সরকারি আইনজীবী বলেন, ভয়ানক অপরাধ হয়েছিল। এটা তারই শাস্তি।
উল্লেখ্য, ৫৯ বছর বয়সি খাশোগি সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন ওরফে এমবিএসের সমালোচক বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের রাজধানী ইস্তানবুলের সৌদি কনসুলেটে নিজের প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর আর তাঁকে দেখা যায়নি। তদন্তে জানা যায়, সৌদি আরব থেকে পাঠানো একটি দল কনসুলেটেই খুন করেছিল খাশোগিকে।
তদন্ত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছিল, শ্বাসরোধ করে মেরে দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে রাসায়নিকে মিশিয়ে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছিল সৌদি হিট টিম। খাশোগিকে হত্যার শেষ মুহূর্তের একটি অডিও টেপ তদন্তের সময়ে প্রকাশ্যে আসে। তাতে প্রবীণ সাংবাদিকের আর্তনাদ, করাতে তাঁর দেহ কাটার আওয়াজ, শোনা গিয়েছিল সবই।