সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় দায়ের করা ৫৯ পিটিশনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। ২২ জানুয়ারির মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারকে। এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলাগুলি দায়ের হয়েছে, সে ব্যাপারে তাদের কী বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারকে তা জানাতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। তবে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বে শীর্ষ আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চ নতুন আইনের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। বুধবার সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’
যাঁরা পিটিশন দাখিল করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছে শীর্ষ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ এবং অসমে শাসক বিজেপি’র শরিক দল অসম গণ পরিষদ। প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে ছাড়া বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্য কান্ত। পিটিশনগুলিতে বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকত্বে অনুমোদন পাওয়ার ভিত্তি কখনওই ধর্ম হতে পারে না। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংবিধানের মূল ভিত্তির বিরোধী। কারণ এই নয়া আইনে বেআইনি শরণার্থীদেরও ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিক হিসেবে মেনে নেওয়া হচ্ছে। এতে লঙ্ঘন করা হচ্ছে সংবিধানের মৌলিক অধিকার।
নতুন আইন নিয়ে সংসদে বিতর্কের সময়েও একই কথা বলেছিলেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা বলেন, ‘এর ফলে সংবিধানের আত্মায় আঘাত করা হল।’ তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘এটা তো একেবারে নাৎসিদের মতো কাজ।’ পিটিশনারদের পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধাওয়ানের আর্জি ছিল, আইন এখনও বাস্তব রূপ পায়নি। নিয়মকানুনও এখনও জারি হয়নি। কাজেই আপাতত এই আইন স্থগিত করা হোক। তবে তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করে অ্যাটর্নি জেনারেল বেণুগোপাল বলেন, আইনে এভাবে স্থগিতাদেশ দেওয়া যায় না। এমন দৃষ্টান্ত সুপ্রিম কোর্টের কাছে রয়েছে।
