শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে নিয়ে আসা হয়, তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে। ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ। তাকে জুডিসিয়াল কাস্টডিতে পাঠানোর জন্য ইডির তরফ থেকে আবেদন জানানো হবে, বিচারকের কাছে। কারণ, তদন্তকারী অফিসারদের বক্তব্য, তদন্ত এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। তার ফ্ল্যাট থেকে ২০২২ এর যে টেট সেই টেট এর OMR শিটের কপি পাওয়া গেছে। এছাড়াও ১৪ দিন কুন্তলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে, ইডির আধিকারিকরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছেন। সেই সমস্ত ডকুমেন্টসকে ঢাল করেই আদালতে জামিনের তীব্র বিরোধিতা করতে পারে ইডির আইনজীবিরা।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসেই কুন্তল ঘোষের জোড়া ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার প্রাথমিক টেটের ওএমআর শিট। এই বিষয়ে আর পাঁচজনের মতোই বিস্মিত প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এজলাসে এদিন বলেন’ ‘কিছু দুষ্কৃতী রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে। আর কিছু দালাল এখনও চাকরি বিক্রির চেষ্টা করছে, আর কিছু লোক সেই দালালদের আড়াল করছে।’বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, কুন্তলকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে হবে। কাদের ওএমআর শিট ওখানে মিলেছে, তাঁদের নাম ও রোল নম্বর ধরে তদন্ত করতে হবে। সবটাই তিন দিনের মধ্যে করতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, প্রয়োজনে যাঁদের ওএমআর শিট মিলেছে তাঁদেরও হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই। এর আগে সিবিআই দফতরে দু’দিন হাজিরা দিয়েছিলেন কুন্তল। তবে নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যদি কিছু করে থাকতাম তাহলে তো আমায় ছাড়ত না। আপনারাই তো দেখলেন, কতক্ষণ ছিলাম ভিতরে।’স্বাভাবিকভাবেই সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি ২০২২ সালে নিরাপত্তার চাদরে মোড়া টেটেও চাকরি বিক্রি হয়েছে? ২০২২-এর যে সময় টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সেই সময় নিয়োগ দুর্নীতির মূল চাঁইদের অনেকেই জেলবন্দি। তাহলে কে বা কাদের নির্দেশে দুর্নীতি করল কুন্তল, এমনই নানা প্রশ্নের খোঁজে তদন্তকারীরা।