মানসিক রোগের মধ্যে সচরাচর বেশি পরিলক্ষিত হয় বিষণ্নতা এবং উদ্বেগজনিত রোগ, যা কর্মস্থলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে উদ্ভূত। এর ফলে কর্মক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতার ওপর গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। এমনকি কর্মক্ষেত্রের মানসিক চাপ থেকে কর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় আত্মহত্যাপ্রবণতা। এমনকি বেড়ে যায় তাদের হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকিও।
বিশ্বব্যাপী ৩০ কোটির বেশি মানুষ বিষণ্নতায় ভোগে। এর প্রধান কারণ কর্ম প্রতিবন্ধকতা। আর এই কারণে ২৬ কোটিরও বেশি মানুষ উদ্বেগজনিত রোগে ভুগছেন। এদের বেশিরভাগই বিষণ্নতা এবং উদ্বেগ দুটির সঙ্গেই বসবাস করছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিচালিত এক গবেষণায় প্রতি বছর বিষণ্নতা এবং উদ্বেগরোগ বিশ্ব অর্থনীতিতে ১ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলারের মতো উৎপাদন হ্রাস করছে। তাছাড়া কোনো ব্যক্তি যদি মানসিক চাপে থাকে তা হলে বেড়ে যেতে পারে তার মানসিক রোগের প্রকোপ অথবা নতুন করে মানসিক রোগ দেখা দিতে পারে যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। গবেষণায় আরও জানা গেছে, দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ মনোযোগে সমস্যা, ঘুমের সমস্যা, স্মরণশক্তি হ্রাস ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি করে। এছাড়া মানসিক সমস্যার পাশাপাশি কিছু গুরুতর শারীরিক রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপও লক্ষ্য করা যায়।