বেঁচে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। করোনাভাইরাস থেকে নয়। আস্থাবোট থেকে। আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করে দিলেন অধ্যক্ষ। কিন্তু কী কারণে অধিবেশন স্থগিত রাখা হল স্পষ্ট করে বলা হয়নি। স্বভাবতই আরও ১০ দিনের জন্য স্বস্তি পেল কমল নাথের সরকার। তবে রাজনৈতিক কারণে নয়, করোনাভাইরাসের আতঙ্কের জন্যই অধিবেশন মুলতুবি করা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। সোমবার অবশ্য বিধানসভার অধিকাংশ বিধায়ককেই মাস্ক পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়।
কমলনাথ আগেই বলেছিলেন, দেখা যাক সোমবার। অল ইজ ওয়েল। অনুমান করা গিয়েছেল, করোনা আতঙ্ককে ব্যবহার করতে পারেন কমলনাথ। এদিন রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন প্রথাগতভাবে দীর্ঘ বক্তৃতা না রেখে বিধানসভায় শুধু বলে গেলেন, ‘সংবিধান মেনে কাজ করুন। মধ্যপ্রদেশের মর্যাদা সুরক্ষিত করা খুব জরুরী।’ রাজ্যপাল চলে গেলে দীর্ঘক্ষণ সরকার–বিরোধীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। বিজেপি সংখ্যালঘু সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় এবং কংগ্রেস সংবিধানকে মানার কথা বলে স্লোগান দেয়।
কমলনাথের হাতে আরও ১০দিন সময়। সংখ্যা না থাকলেও শেষ পর্যন্ত কমলনাথ বলেন, চিন্তার কিছু নেই। সরকার তাদের হাতেই থাকবে। কিন্তু কোন উপায়ে? কমলনাথ এখন ৯৯ বিধায়ক নিয়ে সংখ্যালঘু সরকার চালাচ্ছেন। যার মধ্যে কংগ্রেসের বিধায়ক রয়েছে মাত্র ৯২। ৩১ মার্চের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং বিজেপি বিধায়করা জেতার প্রতীক ‘ভি’ দেখাতে দেখাতে বিধানসভায় ঢোকেন। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গে বৈঠক করেন জ্যোতিরাদিত্য–শিবরাজ সিংরা। সোমবার ফয়সলা না হলে আদালতে যেতে পারেন তাঁরা।