আস্থাভোটের আগেই ইস্তফা দিলেন কমলনাথ। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারের পতন হল। শুক্রবার দুপুর দু’টো নাগাদ মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় আস্থাভোট। ঠিক তার আগেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। এদিন কমলনাথ জানান, তিনি রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছেন।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে নাম লেখান। জ্যোতিরাদিত্যের সঙ্গে কংগ্রেস শিবিরের সঙ্গ ত্যাগ করে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন ২২ জন বিধায়ক। যার ফলে মধ্যপ্রদেশে সংকটে পড়ে কমলানাথের সরকার। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশে যে কংগ্রেস সরকার পড়বে, তা কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল মধ্যরাতে। পতন ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। গভীর রাতে ইস্তফা দেওয়া ১৬ জনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে নিয়েছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ এনপি প্রজাপতি। বিদ্রোহী বিধায়করা এখনও বেঙ্গালুরুতেই আছেন এবং তাঁরা আস্থাভোটে যোগ না–দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড়। স্পিকার ইস্তফা গ্রহণ করায় বিধায়কের সংখ্যা কমে হয়েছে ২০৬। ফলে ম্যাজিক ফিগার ১০৪। স্পিকার ছাড়া কংগ্রেসের হাতে আছে ৯১ জন বিধায়ক আর চার নির্দল বিধায়কের সমর্থন। ফলে ম্যাজিক ফিগার থেকে তারা ৬ আসনে পিছিয়ে পড়ে যাচ্ছে। আর বিজেপি’র কাছে আছে ১০৭ বিধায়ক যাঁদের মধ্যে ১০৬ জন ১৬ মার্চ রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলেন।
অনেক চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হল না। বিজেপি অভিযোগ করে, আস্থাভোট এড়িয়ে যেতে চাইছেন কমলনাথ। তখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুক্রবার বিকেল ৫টায় আস্থাভোটের সময় চূড়ান্ত হয়। কিন্তু আস্থাভোটের কয়েক ঘণ্টা আগেই রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কী পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া?
