রাজ্য

ঐক্যের দিনে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় বামেরা

লং মার্চেও লাল সংগঠন দেখিয়েছি পেশিশক্তি। এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় রাজ্যে কোমর বেঁধে নামছে আলিমুদ্দিন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কার্ফু উপেক্ষা করে রাজধানী গুয়াহাটিতে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। সেখানে মৃত্যুও হয় তিন জনের। এই পরিস্থিতিতে সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয়ে যাওয়া বিলের প্রতিবাদে গোটা দেশজুড়ে পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামেরা। সভা–সমাবেশে সীমাবদ্ধ থাকা নয়, বরং ছোট ছোট সভা, লিফলেট বিলি, নাটক, গানের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সিপিএম নেতৃত্ব। দলীয় ক্যাডারদের জন্য নিয়মিত পার্টি ক্লাসের বন্দোবস্ত থাকছে। ১৯ ডিসেম্বর দেশজুড়ে প্রতিবাদে নামছে সিপিএম–সহ বাম দলগুলি। তবে বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলি কলকাতায় ১৬ ডিসেম্বর প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মোকাবিলায় কৌশল নিয়ে রূপরেখা তৈরি করতে আলিমুদ্দিনে বসে ১৭ দলের বৈঠক। এরপরই তৈরি হয়েছে লিফলেট। তা বিলি করা হবে সাধারণ মানুষকে। ওই লিফলেটে তুলে ধরা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে কী করতে চাইছে বিজেপি? কেন ১৯ তারিখকেই বেছে নেওয়া হল? কারণ ১৯ ডিসেম্বর ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯২৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর গোরক্ষপুরের জেলে ফাঁসি হয়েছিল রামপ্রসাদ বিসমিলের। অপরদিকে ফৈজাবাদ জেলে ফাঁসি দেওয়া হল আর এক স্বাধীনতা সংগ্রামী আসফাকউল্লাহ খানকে। নৈনি জেলে রোশন সিংকে ফাঁসি দেওয়া হয়। সেই দিনটি ভারতের স্বাধীনতায় একপ্রকার ঐক্য দিবস হিসেবেই দেখা হয়। বামেদের অভিযোগ, সেই ঐক্যই এখন ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। গান, নাটক, লোকগীতির মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হবে এনআরসি ও সিএবি’‌র নেতিবাচক দিকগুলি।
সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‌ক্লাস আমরাও করি। নতুন কিছু নয়। সাধারণ মানুষের কাছে বোঝানো হবে কী বিপদের মুখে পড়েছেন তাঁরা। ওরা দেশের মধ্যে আর একটা দেশ তৈরি করতে চাইছে। আমরা বিরোধিতা করছি। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কেউ বলছে না! চাকরি নেই। বামপন্থীরা জীবনজীবিকার অধিকার নিয়ে সবসময় রাস্তায় রয়েছে।’‌