আন্তর্জাতিক

এয়ার ফোর্স ওয়ানের বিশেষত্ব কী?‌

ভারতের মাটিতে পা রাখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কী নেই এই বিমানে?‌ অফিস, শৌচালয় এবং কনফারেন্স রুম শুরু করে ব্যক্তিগত ডাইনিং রুম। মার্কিন রাষ্ট্রপতির বিমান বলে কথা। বোয়িং ৭৪৭–২০০বি সিরিজের এয়ার ফোর্স ওয়ান। এই বিমানের জ্বালানি প্রয়োজনে মাঝ আকাশেই উড়ন্ত অবস্থায় ভরেও নিতে পারবে। অন্য বিমানের মতো জ্বালানি ভরতে অবতরণের কোনও প্রয়োজনই নেই।
প্রেসিডেন্টের বিমানের সুরক্ষা ব্যবস্থাও ততটাই শক্তপোক্ত। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পালস‌্–এর বিরুদ্ধেও সহজেই রুখে দাঁড়াতে পারবে এই বিমান। অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তির যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে বিমানে। ফলে যে কোনও সময়ে বিমানে বসেই হোয়াইট হাউসকে জরুরি নির্দেশ দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট। এয়ার ফোর্স ওয়ান একসঙ্গে ২৬ জন ক্রিউ সদস্য–সহ মোট ১০২ জন যাত্রীকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে। বিমানে সবসময় মজুত থাকে চিকিৎসক এবং প্রেসিডেন্টের জন্য রক্ত। সুরক্ষার জন্য প্রেসিডেন্টের বিমানের আগেও কিছু কার্গো বিমান থাকে।
নীল–সাদায় রং করা এই বিমানের গায়ে ‘ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা’ লেখা রয়েছে। প্রেসিডেন্টের সিল আছে বিমানের গায়ে আর আছে আমেরিকার পতাকা। যার সব মিলিয়ে এলাকা চার হাজার বর্গ ফুট। যার সিংহভাগ প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডির জন্য বরাদ্দ। এয়ার ফোর্স ওয়ান প্রথম প্রকাশ্যে আসে ১৯৯০ সালে জর্জ ডব্ল‌ু বুশের আমলে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় পারদর্শী এই বিমান।