ব্রেকিং নিউজ

এনকাউন্টারের ঘটনায় নির্দেশ আদালতের

হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসক যুবতীকে গণধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারার অভিযোগ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল চারজনকে। আর তারপর তাদের নিয়ে পুনর্নির্মাণ করাতে গেলে পাল্টা হামলা করে অভিযুক্তরা। তখন তাদের এনকাউন্টার করে খতম করা হয়। শুক্রবারের এই ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত হায়দারাবাদে এনকাউন্টারে মৃত অভিযুক্তদের দেহ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। জরুরীভিত্তিক আবেদনের শুনানিতে দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত দেহগুলিকে সংরক্ষণ করতে হবে। ময়নাতদন্ত হবে ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে। সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে। শনিবার সন্ধ্যের মধ্যে জমা দিতে হবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। সোমবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে পরবর্তী শুনানি করবে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, হায়দরাবাদের এক পশু চিকিৎসককে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে ওই চার অভিযুক্ত। তারপর তাঁকে হত্যা করা হয়। প্রমাণ লোপাট করতে দেহ পুড়িয়ে দেয় অভিযুক্তরা। পুলিশ সূত্রে খবর, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং কর্নাটকে এই ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। তার সঙ্গে অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে।
এই এনকাউন্টারের পর সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ কমিশনার ভিসি সজ্জনার জানিয়েছিলেন, অভিযুক্তদের ঘটনার পুনর্নিমাণের জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্তরা পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে বন্দুক ছিনিয়ে নেয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। অভিযুক্তরা গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। তখন পাল্টা পুলিশের জবাবে মৃত্যু হয় চার অভিযুক্তের। সাইবারাবাদের পুলিস প্রধান সজ্জনার ‘এনকাউন্টারম্যান’ বলে পরিচিতি রয়েছে।