মহারাষ্ট্রে ত্রিঙ্গালওয়াড়ি দুর্গের জন্য বিখ্যাত ইগাতপুরি গ্রাম। এক দশক আগে এখানে বেড়াতে এসে একটি জমি কিনেছিলেন ইরফান খান। এটাই ছিল তার অবকাশযাপনের খামারবাড়ি। সেই থেকে গ্রামটির সঙ্গে ছিল তার নিবিড় সম্পর্ক।
ইরফানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গ্রামটির নাম রাখা হয়েছে ‘হিরো-চি-ওয়াড়ি’। মারাঠি শব্দটির বাংলা অর্থ ‘নায়কের এলাকা’।
গ্রামের অনেক আদিবাসী পরিবারকে সাহায্য করেছিলেন ইরফান। এরমধ্যে ছিল এলাকার উন্নয়নসহ জরুরি প্রয়োজনে মেডিক্যাল অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া। গ্রামের স্কুলগুলোতে আর্থিক সহায়তা দিতেন তিনি। যখনই গ্রামবাসীর প্রয়োজন হতো, সবসময় তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন।
ইগাতপুরি জেলা পরিষদ সদস্য গোরাখ বোড়কে বলেন, ‘তিনি ছিলেন গ্রামের অনেক পরিবারের রক্ষাকর্তা। কেউ সাহায্য চাইলে তিনি কখনো না করতেন না।’
আদিবাসী পরিবারগুলোকে সাহায্য দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করতেন ইরফান খান। এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে গল্পের বই, পাঠ্যবই, রেইনকোট ও সোয়েটার পাঠিয়েছেন তিনি। এছাড়া এক ডজন কম্পিউটার দিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। বিভিন্ন উৎসবে শিশু-কিশোরদের জন্য মিষ্টি পাঠাতেন।
বিরল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর ইরফানকে আর দেখার সুযোগ পায়নি গ্রামবাসী। তার মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। সেই শোক কাটেনি এখনও।
You must be logged in to post a comment.