আন্তর্জাতিক

আম–আদমির পথে হ্যারি–মেগান!‌

ডিউক এবং ডাচেস অফ সাসেক্সের ঘোষণা, সিনিয়র রয়্যাল হিসেবে আর গণ্য হতে চান না তাঁরা। রাজ পরিবারের সঙ্গে আর লন্ডনে থাকবেন না। রাজকোষের অর্থ ব্যবহার না করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা চালাবেন। মেগান এবং হ্যারির এই সিদ্ধান্ত ব্রিটিশ রাজপরিবারে রীতিমতো ঝড় তুলেছে। পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেগান–হ্যারি। এখন তাঁরা ব্রিটেন এবং উত্তর আমেরিকায় বিভিন্ন কাজে সময় কাটাবেন। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করবেন। এবং রানির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েও নতুন ভূমিকায় উন্নতির চেষ্টা করবেন।
হ্যারি–মেগানের দাবি, অনেক ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তবে ব্রিটেনের রানি, কমনওয়েলথ এবং পৃষ্ঠপোষকদের প্রতি দায়িত্ব পালনে কোনও ত্রুটি রাখবেন না। বাকিংহ্যাম প্রাসাদের ই–মেল সংযোগ ব্যবস্থা, নিজেদের ইনস্টাগ্রাম এবং ওয়েবসাইটে ওই ঘোষণা করেন হ্যারি–মেঘান। হ্যারি–মেগানের এই ঘোষণায় যেন বোমা পড়ে বাকিংহ্যাম প্রাসাদে। রাজ পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, ‘‌এই বিষয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে হ্যারি–মেগনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা বুঝতে পারছি ওঁরা অন্যরকম কিছু করতে চাইছেন। কিন্তু এটা যেহেতু জটিল বিষয় তাই সমাধান সময়সাপেক্ষ।’‌
অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হওয়ার অর্থ রাজকোষ থেকে আর খরচ নেবেন না হ্যারি–মেগান। কিন্তু নিয়ম বলছে, তাঁরা যদি মনে করেন, তাঁদের বিদেশ সফরের খরচ রাজকোষ থেকেই যাবে অথবা সংশ্লিষ্ট দেশ সেই খরচ বহন করবে। রাজ পরিবারের সদস্য বলে মেট্রোপলিটন পুলিশের নিরাপত্তাও নিতে বাধ্য তাঁরা। অনেকে মনে করছেন, চেষ্টা করেও আমজনতা হয়ে ওঠা হবে না তাঁদের। উল্লেখ্য, গত প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে খবর মিলছিল, বড়দা উইলিয়াম এবং তাঁর স্ত্রী কেটের সঙ্গে হ্যারি–মেগানের সম্পর্কে চিড় ধরেছে।