ফের ভারত সফর বাতিল করলেন বাংলাদেশের উপ–বিদেশমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। শনিবার এই কথা জানানো হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। তবে কেন বাতিল করা হল তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট উত্তর দেওয়া হয়নি। চলতি সপ্তাহেই বিদেশমন্ত্রক আয়োজিত বার্ষিক সম্মেলন রাইসিনা ডায়লগে যোগ দিতে দিল্লি পৌঁছনোর কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সেই সফর বাতিল করা হয়েছে। সূত্রের খবর, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে কার্যকর করার পরই সফর বাতিল করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই নিয়ে চতুর্থবার দুই দেশের মধ্যে উচ্চ–পর্যায়ের বৈঠক বাতিল করল ঢাকা। গত মাসে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র ও বিদেশমন্ত্রীরা তাঁদের ভারত সফর বাতিল করেছিলেন। তার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে জল বণ্টন নিয়ে আলোচনা বাতিল ঘোষণা করা হয়। নাগরিকত্ব আইনের জেরে ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কেও যে উত্তেজনার পারদ চড়েছে, তা একের পর এক সফর বাতিলে স্পষ্ট। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে এই বিরূপ সম্পর্ক কূটনৈতিক স্তরে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, পূর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা অত্যাচারের শিকার। এই নিয়ে আপত্তি তুলেছিল ঢাকা। পরে অবশ্য নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগের সরকার ও সেনা শাসনের আমলের অবস্থার কথাই এক্ষেত্রে বলতে চেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গত মাসে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, ভারত তার ঐতিহাসিকভাবে সহ্যশীল দেশের তকমা এবার হারিয়ে ফেলতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে এবারের বৈঠকে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে আপাতত জল ঢেলে দিয়েছে বাংলাদেশ।