৩১ অক্টোবর থেকেই রাজ্যের মর্যাদা হারাল জম্মু–কাশ্মীর। বুধবার রাত ১২টার পর থেকেই জম্মু–কাশ্মীর ভারতের মানচিত্রে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। জম্মু–কাশ্মীর থেকে পৃথক হওয়া লাদাখও এখন পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ফলে আর রাজ্য নয়। ভারতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বেড়ে দাঁড়াল ৯। দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দু’ভাগ উপত্যকা। আত্মপ্রকাশ জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখের। জঙ্গি হানার আশঙ্কায় উপত্যকা জুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।
একইসঙ্গে রাজ্যের সংখ্যা একটি কমে হল ২৮। কাশ্মীরের ওপর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ এবং জম্মু– কাশ্মীরের পুনর্গঠন বিল আনার ফলে বিশেষ মর্যাদা শুধু নয়, রাজ্যের মর্যাদাটুকুও হারায় জম্মু–কাশ্মীর। এদিন থেকে তা সরকারিভাবে স্বীকৃতি পেল। জম্মু–কাশ্মীরের উপ–রাজ্যপাল গিরিশচন্দ্র মুর্মু, আর লাদাখের উপ–রাজ্যপাল রাধা কৃষ্ণ মাথুর এদিন শপথগ্রহণ করেন।
গত ৬ আগস্ট সংসদে জম্মু–কাশ্মীরের জন্য সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা বিলোপের পাশাপাশি ওই রাজ্যের পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিলটি আনে কেন্দ্র। বিলে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ দমন ও প্রশাসনিক সুবিধার কথা মাথায় রেখে জম্মু– কাশ্মীর রাজ্যকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অমিত শাহ বলেন, লাদাখ এতদিন জম্মু–কাশ্মীরের সঙ্গে থাকলেও, সেখানকার ভূপ্রকৃতি এবং জনসংখ্যার চরিত্র আলাদা।
এবার থেকে সংবিধানের ৩৬০ অনুচ্ছেদে আর্থিক সংকট ঘোষণা করার অধিকার থাকবে কেন্দ্রের হাতে। দিল্লির মতো জম্মু–কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বও চলে আসবে কেন্দ্রের হাতে। এনডিএ সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লি–পুদুচেরির মতোই বিধানসভা নির্বাচন হবে জম্মু–কাশ্মীরে। আর দমন ও দিউ বা চণ্ডীগড়ের মতো লাদাখে বিধানসভা থাকবে না। জম্মু–কাশ্মীর বিধানসভার বর্তমানে বিধায়ক সংখ্যা ১১১। যার মধ্যে ৪ জন লাদাখের।
