নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় উত্তাল অসম। লোকসভার পর রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বিলটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে জ্বলতে শুরু করে উত্তর পূর্ব অসম ও ত্রিপুরার একাংশ। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন স্থানীয়রা। রবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে বিক্ষোভকারী নিয়ন্ত্রণেও আনছে পুলিশ। গুয়াহাটিতে জারি হয়েছে কার্ফু। একাধিক জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। অসম–সহ উত্তর পূর্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে আকাশপথে পাঠানো হয়েছে ৫ হাজার আধা সামরিক বাহিনী।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিক্ষোভ থামার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না উত্তর–পূর্বে। পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোরালো হচ্ছে অসমে। ইতিমধ্যেই ডিব্রুগড়ের সব বিমান বাতিল করেছে ইন্ডিগো। কলকাতা থেকে ডিব্রুগড়গামী সব বিমানও বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কার্ফুর জেরে রনজি ট্রফির চতুর্থ দিনের খেলা বাতিল করা হয়েছে। নিরাপত্তার খাতিরে অসম–ত্রিপুরায় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে নর্থ–ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার ট্রেনও। দুই রাজ্যেই ফ্ল্যাগ মার্চ করছে সেনাবাহিনী। রাস্তা অবরোধের জেরে সড়ক পরিবহণ সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। প্রায় ৬–৭টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামেশ্বর তেলির বাড়িতে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালানোয়, ডিব্রুগড়েও জারি রয়েছে কার্ফু। বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট। কটন বিশ্ববিদ্যালয়, বি বুরুয়া কলেজ ও হান্ডিক গার্লস কলেজের মতো গুয়াহাটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে প্রায় শতাধিক বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীকে আটক করা হয়েছে।