বিনোদন

বিজয়ের হাসি হাসলেন তারা

অভিনয়ের মাঠে ছক্কা হাকিয়ে, এবারের গোলটা ছিল ভোটের ময়দানে সেরা হওয়ার। বিধানসভার একুশের নির্বাচনে তৃণমূল-বিজেপি উভয় দলেই ছিল তারকাপ্রার্থীর ছড়াছড়ি। সবাই লড়ছেন বড় বড় নেতাদের বিপক্ষে। ভোটের ময়দানে এরা একে অপরকে দিয়েছেন জোর টক্কর। সিনেমার লাইমলাইট ছেড়ে প্রচারণা চালিয়েছেন পায়ে হেঁটে জনসাধারণের বাড়ি বাড়ি যেয়ে। কোথাও কোনো ত্রুটি রাখেননি তারকারা। যার ফলও পেয়েছেন তারা। তৃণমূল ও বিজেপির তারকা প্রার্থীদের মধ‌্যে অনেকেই হেসেছেন বিজয়ের হাসি।

চলুন জেনে নেই কারা হাসলেন বিজয়ের হাসি-
টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দুইবার বারাসাত আসন থেকে বিধানসভা নির্বাচনে বিজয়ী হন। এবারো তার ব‌্যতিক্রম ঘটেনি। বিজেপি প্রার্থী শংকর চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে শেষ হাসি হাসলেন চিরঞ্জিত। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন চিত্রনায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। খড়গপুর সদর আসনে তৃণমূলকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন হিরণ।

টালিউড অভিনেত্রী জুন মালিয়া গত মার্চে তৃণমূলে যোগ দেন। রাজনীতিতে নাম লেখিয়ে মেদেনিপুর আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেন এই অভিনেত্রী। আর বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরলেন জুন মালিয়া। এতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির সমিত কুমার দাস। টেলিভিশন অভিনেত্রী লাভলী মৈত্র সোনারপুর দক্ষিণ আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন। এতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির অঞ্জনা বসু।

টালিউডের কমেডিয়ান কাঞ্চন মল্লিক প্রথমবার রাজনীতিতে নাম লেখিয়েছেন। আর তৃণমূলে যোগ দিয়েই উত্তরপাড়ার টিকিট পেয়ে যান তিনি। সর্বশেষ বিজেপি প্রার্থী প্রবাল ঘোষালকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন এই অভিনেতা। অন্যদিকে বারাকপুর আসন থেকে তৃণমূলের হয়ে জয় লাভ করেছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। চণ্ডীপুরে আসনে তৃণমূলের হয়ে জয়ী হয়েছেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী।