রাজ্য

আহত বাম যুবনেতার মৃত্যু

বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছিলেন বাম যুবনেতা। আজ শহরের বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিনি। বাঁকুড়ার কোতলপুরের বাসিন্দা মইদুল ইসলাম নামে ওই বাম যুবনেতা বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানর জন্য শহরে এসেছিলেন। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছিলেন তিনি। ডিওয়াইএফআই নেতার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তারপরেই সোমবার সকালে তিনি মারা যান বলে খবর। এই ঘটনায় কড়া নিন্দা করেছেন সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিম।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, পুলিশের বেদম মারে মইদুলের শরীরের একাধিক মাংসপেশিতে গুরুতর আঘাত লাগে। পেটে ও পিঠে প্রচণ্ড আঘাত পান তিনি। ফলে তাঁর কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। যার ফলে চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যু হয় বাঁকুড়ার কোতলপুরের বাসিন্দা মইদুলের। এই ঘটনা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বাম নেতৃত্বের মধ্যে। মানবাধিকার কমিশনে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা। এই বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‌এটা মৃত্যু নয়, এটা খুন। সরকার ইতরতার সীমা ছাড়িয়েছে। এই বাচ্চা ছেলেটকে কীভাবে মেরেছে। সরকার ভয় পেয়েছে। তাঁর বুকে, পিঠে প্রচণ্ড আঘাত করেছে পুলিশ। চিকিৎসক চাপের মুখে সবটা বলতে পারছেন না।’‌
রবিবার রাত থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। কিডনি ফেল করে মারা যান বাম যুবনেতা। পেশায় অটো চালক মইদুল বহস্পতিবার শহরে এসেছিলেন নবান্ন অভিযানের জন্য। দুই সন্তান রয়েছে তাঁর। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মইদুল। নবান্ন অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া বাহারপোতা গ্রামের এক বামকর্মী। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েও যুবকের সন্ধান পায়নি পরিবার। এবার এক যুবনেতার মৃত্যুতে রীতিমতো প্রশ্নের মুখে পুলিশ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে অত্যধিক বলপ্রয়োগের অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে সমাজের একটা বড় অংশ।
বাম কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। স্বৈরাচারী সরকার। পুলিশের নির্মম অত্যাচারেই বাম সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। পুলিশ তাঁর উপর নির্মমভাবে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ করেছে অন্য বাম কর্মী–সমর্থকরা।