রাজস্থানে যদি আস্থাভোট হয় তাহলে সেখানে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য নিজের দলের ছ’জন বিধায়ককে নির্দেশ দিলেন বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী। তাঁর হুঁশিয়ারি, এই নির্দেশ অমান্য করলে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ করা হতে পারে। এই নিয়ে ৬ বিধায়ককে ব্যক্তিগতভাবে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের কাছেও এই নিয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রে খবর। মায়াবতীর এই রাজনৈতিক ভোলবদলে বিজেপি’র সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিজেপি’র সঙ্গে আঁতাত তিনি গড়েছেন কিনা তা প্রকাশ্যে আসেনি। মায়াবতী যে নির্দেশ জারি করেছেন তার মধ্যেও নাটক রয়েছে। কারণ ২০১৮ সালের নির্বাচনে রাজ্যের ছ’টি আসনে বসপা জিতলেও ওই ছ’জন বিধায়কই গত বছর কংগ্রেসে যোগ দেন। বসপা’র পুরো রাজ্য শাখাটাই কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যায়। যদিও এটা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে দাবি করতে থাকেন মায়াবতী। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদনও করেছেন মায়াবতী। যদিও ব্যাপারটা বেআইনি কি না, সেই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত নেয়নি কমিশন।
উল্লেখ্য, আজ রাজস্থান সরকারের ‘ভাগ্য নির্ণয়’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার। হাইকোর্টের নির্দেশে স্পিকারের সাংবিধানিক ক্ষমতা খর্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন সিপি জোশী। সুপ্রিম কোর্টে স্পিকারের সাংবিধানিক ক্ষমতা খতিয়ে দেখতেই এদিনের শুনানি। সংবাদসংস্থা এএনআইকে বসপা’র সাধারণ সম্পাদক সতীশ মিশ্র বলেন, ‘বসপা জাতীয় দল। জাতীয় স্তরে যদি সংযুক্তিকরণ না ঘটে, তাহলে রাজ্যস্তরে এভাবে সংযুক্তিকরণ ঘটতে পারে না। সেটা বেআইনি। আমরা আমাদের দলের ৬ জন বিধায়ককে নোটিশ পাঠিয়েছি।’
আবার রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের কাছে বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। আস্থাভোটের পথে না হেঁটে আগামী ৩১ জুলাইয়ে বিধানসভা অধিবেশন ডাকার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, করোনা নিয়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন অশোক গেহলট। সেখানে দলের মধ্যে হুইপ জারি করা হতে পারে। শচীন পাইলট এবং তাঁর অনুগামীরা যদি উপস্থিত না হয়, বা বিপক্ষে ভোট দেয়, পত্রপাট তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ করতে পারে কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া দেননি রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র।
