সাত মন তেলও পুড়ল না, রাধাও নাচল না। সাধারণ মানুষ অফিস যেতে যে দুর্ভোগে পড়ছেন তাতে পরিবহণমন্ত্রীর হাঁকডাকই যে সার তা পরিষ্কার হয়ে গেল। জুনের ৩০ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। ফলে শহরতলি থেকে কলকাতায় অফিস পৌঁছতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে অফিসযাত্রীদের। রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থেকেও অনেক সময় বাসের দেখা মিলছে না। আবার বাসে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। বেসরকারি বাস রাস্তায় নামলেও তা চাহিদার থেকে অপ্রতুল।
জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতি হুগলি জেলার মানুষজন শ্রীরাপুর এবং চন্দননগর থেকে ফেয়ারলি পর্যন্ত যাতায়াত করছেন লঞ্চে। সেখানে খানিকটা ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। এই লঞ্চ পরিষেবা এখানে চালু হয়েছে। ফেয়ারলিতে নামার পর হেঁটে অথবা কোনও বাস পেলে তাতে গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে। প্রত্যেকদিন সকাল ৮টায় শ্রীরামপুর থেকে ফেয়ারলির উদ্দেশ্যে লঞ্চ ছাড়বে। ভাড়া করা হয়েছে ৪৬ টাকা। অফিস কাছারি খুলে যাওয়ায় কলকাতা যাওয়ার লোক বেড়েছে। হুগলি জেলা থেকে কয়েকটি সরকারি বাসও চালু করা হয়েছে। কিন্তু তাতে ভিড় হচ্ছে খুব। সঙ্গে এই লঞ্চ পরিষেবা চালু করা হল।
কিন্তু তারপরও বিতর্ক থামছে না। এখানে সামাজিক দূরত্ব নিয়ে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া ৪৬ টাকা ভাড়া নিয়েও আপত্তি জানান অনেকে। ভাড়াটা একটু বেশিই বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। লঞ্চে মোট ১৩৫ জন যাত্রী উঠতে পারবেন। বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিটে ফেয়ারলি থেকে আবার ফিরবে লঞ্চটি। এই লঞ্চের একপিঠের ভাড়া স্থির করা হয়েছে ৬০ টাকা। যাতায়াতে মোট পড়বে ১২০ টাকা।
চন্দননগর রানিঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে প্রথমে ভদ্রেশ্বর তেলিনিপাড়া ঘাটে দাঁড়াবে লঞ্চ। তারপর সেখান থেকে বাবুঘাট হয়ে দাঁড়াবে শেওড়াফুলিতে। সেখান থেকে বাগবাজার হয়ে ফেয়ারলি যাবে লঞ্চটি। এদিন লঞ্চে ওঠার আগে সব যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়। প্রত্যেককে মাস্ক পরে লঞ্চে উঠতে হয়। লঞ্চে সবাইকে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসানো হয়।