ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা। সবার আগে নাক মুখ ঢাকুন মাস্কে। মাস্ক পরে বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাইরে থেকে করোনাকে রোখার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও জোরদার করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
শরীরের সুরক্ষা চক্রকে আরও পোক্ত করে তোলার জন্য ডায়েটে আনতে হবে পরিবর্তন। এক্ষেত্রে ভিটামিন, মিনারেলস-এর সুষম ভারসাম্য আনলেই কেল্লাফতে!
• ভিটামিন সি:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জোরদার করে তুলতে প্রথমেই ভিটামিন সি-এর ঘাটতি মিটিয়ে নিন। এই ভিটামিন সর্দি-কাশির দাপট কমাতে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, ভিটামিন সি দেহের অন্দরে অ্যান্টিবডি তৈরিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো বর্তমান পরিস্থিতিতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সাইট্রাস জাতীয় ফলে খেতে ভুলবেন না যেন!
কমলালেবুতে যেমন এই ভিটামিনের সন্ধান মেলে, তেমনই পাতিলেবু, গন্ধরাজ লেবু, ক্যাপসিগাম, রেড বেল পেপার এবং স্ট্রবেরিও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।
• ভিটামিন এ (বিটা ক্যারোটিন):
শরীরের একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং শ্বাসনালীর সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি এই ভিটামিন। তাই এমন পরিস্থিতিতে এই ভিটামিনের ঘাটতি হতে দেওয়া চলবে না। কারণ একথা ভুলে গেলে চলবে না যে করোনা ভাইরাস সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলে ফুসফুস ও শ্বাসনালীতে। তাই এই অঙ্গের সুরক্ষা সবার আগে দরকার।
শীতের প্রায় সব সবজিই ভিটামিন এ-এর খনি। বিশেষ করে গাজর, ব্রকলি, রাঙালু, পালং এবং রেড বেল পেপার খেলে শরীরে চটজলদি মিটবে ভিটামিন এ-র ঘাটতি।
• ভিটামিন ই:
ভিটামিন ই-তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধে সিদ্ধহস্ত। ভেজিটেবল অয়েল, বাদাম, ফলের বীজ এবং অ্যাভোকাডোতে মেলে এই ভিটামিন।
• জিঙ্ক:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে ভিটামিনের পাশাপাশি দরকার মিনারেলও। বিশেষ করে জিঙ্কের ঘাটতি মেটান চটজলদি। তাতেই বাড়বে ইমিউনিটি। তাই এই আবহে পাতে বিনস, বীজ, বাদাম, পোলট্রির ডিম এবং মাংসের মতো জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার রাখতে ভুলবেন না।
• প্রোটিন:
শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে দেখা দিতে পারে একাধিক সমস্যা। এমনকী কমে যেতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। তাই এই মরশুমে প্রোটিনের যাতে ঘাটতি না হয়, সেদিকে নজর রাখুন।