আন্তর্জাতিক খেলাধুলা

FIFA World Cup: রবিবার ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি ফ্রান্স

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ফ্রান্স। এদিন ফ্রান্সের হয়ে গোল দুটি করেন থিও হার্নান্দেজ ও রান্ডল কোলো মুয়নি। এই জয়ের ফলে রবিবার ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে ফ্রান্স।

কাতার বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়েছে মরক্কো। প্রথম আফ্রিকার দল হিসেবে সেমি ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে মরক্কো। শুধু তাই নয়, রাশিয়া বিশ্বকাপের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ড্র, বিশ্বকাপের ডার্ক হর্স বেলজিয়াম, ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ী স্পেন ও রোনাল্ডোর পর্তুগালকে হারিয়ে আশা জাগায় ওয়ালিদ রিগ্রগুইয়ের দল।

ম্যাচ শুরুর আগে থেকে দুই শিবিরেই চোট আঘাতের সমস্যায় জর্জরিত ছিল। ওয়ার্ম আপে চোট পেয়ে ছিটকে যান মরক্কোর সেন্টারব্যাক আগুয়ের। দলের তিন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে ছাড়াই নামতে হয় আফ্রিকার দেশটিকে।

মাঠের মধ্যে দুই দলের ফুটবলাররাই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই় করলেন। এদিন ম্যাচ শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স। প্রতিপক্ষ বক্সে ভারানের পাস দেন গ্রিজম্যানকে। তাঁর থেকে বল আসে এমবাপের পায়ে। এমবাপের শট ব্লক হয়। ফিরতি বলে কাঁধের উচ্চতায় পা তুলে অ্যাক্রোব্যটিক শট নেন থিও হার্নান্দেজ। কিছুই করার ছিল না মরক্কোর গোলরক্ষক বনোর। এই গোলের পর হাল ছেড়ে দেয়নি ওয়ালিদের ছেলেরা। দুরন্ত ফুটবল খেলে একাধিক সুযোগ তৈরি করল। কিন্তু সুযোগগুলিকে কাজে লাগাতে পারলেননা এল নাসেরি, জিয়েচরা।

দ্বিতীয়ার্ধের ৭৯ মিনিটে ওসুমানে ডেম্বেলের পরিবর্তে কোলো মুয়ানিকে নামান ফ্রান্স কোচ। নেমেই নজির গড়লেন মুয়ানি। মাঠে নামার মাত্র ৪৪ সেকেন্ডের মধ্যে গোল করলেন তিনি। বিশ্বকাপে পরিবর্ত হিসেবে নেমে এটিই দ্বিতীয় দ্রুততম গোল। প্রথম দ্রুততম গোলের নজিরটি আছে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ডেনমার্কের এবে সান্ডের দখলে। পরিবর্ত হিসেবে নেমে ২৬ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন সান্ডে।

এদিন গোল না করলেও দুই গোলের ক্ষেত্রেই অবদান ছিল এমবাপের। এদিন ম্যাচে এমবাপেকে কড়া মার্কিংয়ে রাখেন প্যারিস সঁ জার সতীর্থ আশরাফ হাকিমি। সেই কাজে পুরোপুরি সফল না হলেও এদিন এমবাপেকে বেশ চাপেই রেখেছিলেন হাকিমি। কিন্তু চাপের মধ্যেও সতীর্থ খেলোয়ারদের গোলের সুযোগ করে দিলেন ২২ বছরের ফরাসি তারকা। এমবাপের পাশাপাশি অনবদ্য ফুটবল খেললেন অ্যান্টোনিও গ্রিজমান। একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি রক্ষণে নেমে মরক্কোর আক্রমন আটকাতে দেখা যায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের এই ফুটবলারকে।

দলে দুই দলই একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে যায় ফ্রান্সের আরও একটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার ছাড়পত্র।