দেশ ব্রেকিং নিউজ

ভোটের টিকিট? লাগবে টাকা, চাইছে পিকে

ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের নাম নিয়ে ভুয়ো ফোন করে কংগ্রেস নেতাদের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং–এর বিরুদ্ধে কুৎসায় উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগে অজ্ঞাত পরিচয় কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল পাঞ্জাবে। প্রশান্ত কিশোরের নাম ভাঙিয়েই রাজ্যের বিধায়কদের টুপি পড়িয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতাচ্ছে এক গোষ্ঠী, এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পাঞ্জাবের একাধিক শীর্ষস্তরের নেতাদের এবং জনপ্রতিনিধিদের গত পাঁচ সাতদিন ধরে বারংবার ফোন করছেন। তাঁরা নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর হিসেবেই। এই নেতাদের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে সরাসরি অমরিন্দর সিং–এর বিরুদ্ধে জনসমক্ষে কুৎসা করার জন্য। লুধিয়ানা পুলিশের কাছে একদল অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, ওই ব্যক্তিরা প্রশান্ত কিশোরের নাম ভাঁড়িয়ে কংগ্রেস নেতাদের ফোন করছেন এবং তাঁদের প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করতে বলা হচ্ছে। নির্বাচনে টিকিট পাকা করে দেওয়ার নামে ভুয়ো সমীক্ষা ও মোটা অঙ্কের টাকাও আদায় করা হচ্ছে।

এই ফেক কলার পাঞ্জাবি কংগ্রেস নেতাদের বলছেন, সর্বসমক্ষে অমরিন্দর সিং-এর বিরোধিতা করলে তাঁদের কথা দিল্লিতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তাঁর। অর্থাৎ বার্তাটি দেওয়া হচ্ছে এমন ভাবে যে প্রশান্ত কিশোর নিজেই চাইছেন দিল্লিতে এই ধরনের বিরোধাভাস যাক। প্রয়োজনে দায়িত্ব নিয়ে সেই কথা পৌঁছে দেবেন তিনি। একটি দলকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাঁরা লুধিয়ানা, ভাটিন্ডা, জলন্ধর, অমৃতসর ও সাঙ্গুরের কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকে পিকে-র নামে বোকা বানিয়ে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা আদায় করেছে। লুধিয়ানার গিলের বিধায়ক কুলদীপ সিং বৈদকে ফোন করে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করাতেই তিনি পুলিশে খবর দেন। তখনই দুই ব্যক্তিকে জলন্ধর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ৪১৬, ৪১৯, ৪২০, ১০৯, ১২০ বি ধারা এবং আইটি আইনের ৬৬ ডি ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। কয়েকদিন ধরেই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এবং নভজোৎ সিং সিধুর মনোমালিন্য প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু এই দ্বৈরথ থামাতে ইতিমধ্যেই তিন সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করেছে পাঞ্জাব কংগ্রেস। তারা সরাসরি রিপোর্ট দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধীকে। এই কমিটিতে রয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, হরিশ রাওয়াত, জেপি আগারওয়াল। মনে করা হচ্ছে এই দ্বৈরথের সুযোগ নিয়ে কেউ উস্কানিমুলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।