জেলা

ভাগীরথীতে তলিয়ে গেল ৩০টি বাড়ি

আবারও শান্তিপুরে ভাগীরথীর ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে প্রায় ৩০টি কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাধ্য হয়ে এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। বসতবাড়ি, কৃষিজমি, গাছপালা, গ্রামীণ রাস্তা সবকিছুই তলিয়ে গিয়েছে নদীগর্ভে। অনেকেই আবার বাড়ির আসবাবপত্র, টিনের ছাউনি প্রভৃতি অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন। গৃহহীনরা স্থানীয় স্কুলে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
শান্তিপুর পুরসভা ও গ্রামীণ এলাকার বেশকিছু জায়গা ভাঙনপ্রবণ হিসেবে আগেই চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। শহরের ১৬নম্বর ওয়ার্ডের চর সাড়াগড়, গবারচর, স্টিমারঘাট প্রভৃতি এলাকায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়। দেখা গেল, গ্রামের রাস্তার একাংশের চিহ্ন নেই। নদীর পাড়ে থাকা একাধিক গাছপালার অস্তিত্ব নেই।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমাদের সব শেষ হয়ে গেল। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাংসদ জগন্নাথ সরকার ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রচার করেছিলেন। ভোটে তিনি জয়ী হলেও তাঁকে এখন আর এই তল্লাটে দেখা যায় না। এলাকার লোকজন ক্ষোভে ফুঁসছে। সাংসদ জগন্নাথবাবু বলেন, আগে আমি ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙন রোধে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। নদীর পাড় সংস্কারের কাজে বরাদ্দ টাকা ঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে না।

আবারও নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। বাধ্য হয়ে বাড়ির আসবাবপত্র, টিনের ছাউনি, বাঁশের খুঁটি প্রভৃতি খুলে ফেলতে শুরু করেছেন অনেকে। কোথায় আশ্রয় নেবেন কিছুই জানি না। স্থানীয় মহিলারা জানান, রাতে সবেমাত্র উনুনে রান্না চাপিয়েছিলাম। কিন্তু চোখের সামনে ভাতের হাঁড়ি নদীর জলে ভেসে গেল। আমরা অসহায়। প্রশাসন পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক।

শান্তিপুরের বিডিও প্রণয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‌পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখছি। সেচদপ্তরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ১৬নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর বৃন্দাবন প্রামাণিক বলেন, এলাকাটি মূলত ভাঙনপ্রবণ। এর আগেও ভাঙনরোধে কাজ হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা স্থায়ী সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। দুর্গত বাসিন্দাদের ত্রাণশিবিরে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’‌